বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের জন্য তিন সপ্তাহের সময় নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে দাবির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এক বৈঠকে এই সময় নেয় তারা। পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, আবরার হত্যার পর কয়েক দফায় শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর বুয়েটের উপাচার্য, ডিএসউব্লিউ ও ডিনদের সাথে বৈঠকে তিন দফা দাবি জানায় তারা।
দাবি হলো, হত্যামামলার চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা; আহসান উল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া এবং সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগের জন্য শাস্তির নীতিমালা করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা প্রভৃতি। এসব দাবি পূরণ হওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা বলেন তারা।
তবে বেশ কিছু সময় চলে যাওয়ার পরও এসব দাবির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ আনেন শিক্ষার্থীরা। উক্ত দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছে তারা।
আজকের বৈঠকে দাবি পূরণে প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম দাবি পূরণে তিন সপ্তাহের সময় চাইলে সম্মত হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাসের স্বার্থে এই সময়কে মেনে নিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা দেরিতেই পরীক্ষা দেবো। তবুও আমরা একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।