জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নীল নকশার নতুন সংস্করণ বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট সরকারের নীল নকশার নতুন সংস্করণ। আওয়ামী অপশক্তি ড. কামাল হোসেন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবদের দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ঐক্যফ্রন্ট যত দিন থাকবে, তত দিন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে কার্যকর কোনো গতি আসবে না।
একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সরকারের এজেন্ট বলে আখ্যা দেন ইরান। পাশাপাশি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ঝটিকা মিছিলকে কটাক্ষ করে তিনি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ কিংবা ঝটিকা মিছিল করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি করা যাবে না। কারান্তরীণ করার পরে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে বেগম জিয়া ৭ দিনের মধ্যেই মুক্তি পেতেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, খালেদার অবর্তমানে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্যতা পূরণে সরকারের এজেন্ট ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলেও নেতৃত্বের অভাবে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা যাচ্ছে না। এখানে পরিস্কার হয়ে গেছে খালেদা জিয়ার বিকল্প কোনো নেতা নেই।
ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল-রবদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে যারা শহীদ জিয়াকে মানে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য মুখ খুলতে চায় না, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন চায় না, তারা কোনোভাবেই জাতীয়তাবাদী শক্তির বন্ধু নয়, প্রকাশ্য দুশমন।
ইরান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করেনি। রাজপথে দুর্বার আন্দোলন ছাড়া তাকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই গত আন্দোলন-সংগ্রামের পরীক্ষিত জোট ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে পারলেই বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের জনগণের মুক্তি সম্ভব হবে।
মহানগর উত্তর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলী এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন—লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সংগঠটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম সজিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, ঢাকা উত্তর সাধারণ সম্পাদক আরিফ সরকার, যুব মিশন আহ্বায়ক মোহেবুল্লাহ মেহেদী, ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।