রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছে মিয়ানমার তারা ধর্ষণ ও গণহত্যা গাম্বিয়ার অভিযোগী । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জমা দিয়েছে দেশটি।
গাম্বিয়া এবং মিয়ানমার উভয়ই ১৯৪৮ গণহত্যা কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী দেশ। এবং বিধি অনুযায়ী গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সদর দপ্তর হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো মিয়ানমারকে তার নিজের লোকদের (রোহিঙ্গা) বিরুদ্ধে তার ক্রিয়াকলাপেরই জন্য দায়বদ্ধ করা। আমাদের প্রজন্মের জন্য এটি লজ্জার বিষয় যে আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা সংগঠিত হওয়ার পরও আমরা কিছুই করছি না।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এসোসিয়েট ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস ডিরেক্টর পরম প্রীত সিংহ বলেছেন, ‘গাম্বিয়ার আইনি পদক্ষেপ বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে একটি আইনি প্রক্রিয়ার সূচনা করলো যেটা প্রমাণ করতে পারে যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিষ্ঠুরতা জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।’
আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা আর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর পক্ষ থেকে মুসলিম দেশ গাম্বিয়া এই মামলাটি দায়ের করা হয়েচ্ছে। মামলার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে ওআইসি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে মামলার প্রাথমিক শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। সেনাবাহিনী সেখানে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ছুটে আসে বাংলাদেশে। গত দুই বছরে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।