নগরীর ২৮নং পাঠানটুলী এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বাবুল সর্দার নিহতের ঘটনায় ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ১১ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন মহানগর নিউজকে বলেন, বাবুল সর্দার খুনের ঘটনায় আমরা মোট ২৬ জনকে আটক করেছি। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন ও সন্দেহভাজন ৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অবশিষ্ট ১৫ জনকে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, এজাহারভুক্ত আরও সাত জন আসামি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের তদন্তে যদি কারও নাম উঠে আসে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুনঃ প্রবাসীর স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ যুবলীগ নেতা আটক 

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আবদুল কাদের, এমকে কবির হেলাল, ওবায়দুল কবির মিন্টু, আসাদুজ্জামান নুর রায়হান, ইমরান হোসেন ডলার ও দিদার উল্লাহ। সন্দেহভাজন পাঁচজন হলেন মিনহাজ হোসেন ফরহাদ, শহীদুল আলম সাহেদ, জাহিদুল আলম, শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম।

পলাতক সাত জন আসামি হলো আবদুল ওয়াদুদ রিপন, আবদুর রহিম রাজু, আলাউদ্দিন আলো, সালাউদ্দিন সরকার, দেলোয়ার রশিদ, মো. আলমগীর ও আবদুন নবী। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন ৪০ জন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পাঠানটুলীর মগপুকুর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে স্থানীয় মহল্লা সর্দার আজগর আলী বাবুল নিহত হন। একই ঘটনায় মাহবুব নামে আরেক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার জন্য নজরুল ইসলাম বাহাদুর আবদুল কাদেরকে দায়ী করলেও গ্রেফতার হওয়ার আগে আব্দুল কাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাহাদুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০ সালে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।

অপরদিকে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

বাবুল সর্দারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে নগরীর চৈতন্য গলি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তার ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু।