শুক্রবার মুসলমানদের সাপ্তাহিক ইবাদতের এবং আল্লাহ তাআলা বলেন-হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের নজ্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত চলে যাও এবং বেচা-কেনা বন্ধ কর।এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ৯)
জুমআর নামাজের ব্যাপারেই কুরআনের এ ঘোষণা। জুমআর নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিই দুনিয়াতে পাবে উত্তম রিজিক। কেননা নামাজ পড়া শেষ হলেই আবার রিজিকের সন্ধ্যানে জমিনে বিচরণের কথা বলা হয়েছে।
হাদিসে পাকে জুমআ আদায়কারী ব্যক্তির সুখবর ঘোষণা করা হয়েছে। দুনিয়াতে যারা জুমআ আদায় করেছে, জান্নাতেও তারা প্রতি জুমআর দিন একত্রিত হবে। হাদিসের বর্ণনায় সে ঘটনা এভাবে এসেছে-
‘জান্নাতেও প্রত্যেক জুমআর দিন জান্নাতি ব্যক্তিদের হাট বসবে। জান্নাতি লোকেরা প্রত্যেক সপ্তাহে সেখাবে একত্রিত হবে। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর বাতাস প্রবাহিত হবে, যে বাতাসে জান্নাতিদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে। আর তাদের স্ত্রীরা তাদের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে যাবে। (শুধু তাই নয়, ওই সব ব্যক্তিদের) স্ত্রীদের বেলায়ও অনুরূপ সৌন্দর্য বেড়ে যাবে (যা দেখে জান্নাতি ব্যক্তিরাও অভিভূত হয়ে যাবে)।’ (মুসলিম)
দুনিয়াতে মানুষ যেভাবে সুন্দর ও উত্তম পোশাকে সজ্জিত হয়ে জুমআর নামাজ আদায় করে। ঠিক জান্নাতেও আল্লাহ তাআলা তার ওই সব জান্নাতি বান্দাকে জান্নাতের মনমুগ্ধকর বাতাস ও সৌন্দর্য দ্বারা আলোকিত করে দেবেন। তাদের স্ত্রীদের রূপ সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবেন। যাতে তারা তা উপভোগ করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়াতে উত্তম ও যথাযথভাবে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। উত্তম রিজিক ও সর্বোত্তম প্রতিদান লাভের তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here