জেলার চকরিয়ার পৌর বাসটার্মিনালস্থ একটি কুলিং কর্ণারে অনলাইন জুয়া খেলার সময় পুলিশ হানা দিয়ে ব্যবসায়ী শ্রমিক ছাড়াও কিশোর-তরুণ অংশ নেয় জুয়া । জুয়া পরিচালনার ম্যানেজারসহ ৯জনকে আটক করেছে। ওই সময় জুয়া খেলার মূল পরিচালকসহ ৫-৬জন পালিয়ে যায়। উক্ত আসর থেকে জব্দ করা হয় ৮টি মোবাইল সেট ও ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। কক্সবাজার জেলায় এটিই প্রথম অনলাইন জুয়ার আসর শনাক্তপূর্বক জড়িতদের আটক করা হয় ।
গত বুধবার রাতে জুয়ার আসর থেকে আটকরা হলেন- মো. এমরান (২৫), রুহুল আমিন (৩৫), মো. সাদেক (২৮), মিজানুর রহমান (৩০), মো. মামুন (২৫), মো. সোহেল (২৯), মো. ইউনুছ (২৬), জাহেদুল ইসলাম (২৬), ও মো. জাকির (৪৫)। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে থানার এসআই প্রিয়লাল ঘোষ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই মো. কামরুল হাসানকে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এমন কোন কাজ চকরিয়ায় হতে দেয়া হবেনা। জুয়া, মাদকসহ যে কোন অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স থাকবে। ডিজিটাল আইনে দায়ের হওয়া মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, জেলার আট উপজেলাতেই প্রতিনিয়ত চলছে জুয়া। পুলিশি অভিযানে গুটিকয়েকজন ধরা পড়লেও স্থান ও কৌশল পাল্টিয়ে ঠিকই অব্যাহত রয়েছে জুয়া খেলা। দেশে- বিদেশে ফুটবল-ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাজি চলে প্রকাশ্যে। লুডু ও তাস নিয়ে অলিগলিতে জুয়ায় মত্ত থাকে নানা বয়সী লোক। সেই ছোটখাট জুয়াকে ছাড়িয়ে এবার অনলাইনে বিইটি-৩৬৫ নামক সফটওয়ার ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমদিত নয় এমন ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা চলছে। এই অনলাইন জুয়ায় হাত বদল হচ্ছে লাখ-লাখ টাকা। লোভের বশে শ্রমিক-শিক্ষার্থীরাও অনলাইন জুয়ায় অংশ নিয়ে ফতুর হচ্ছে। জেলার আট থানা ও ফাঁড়ির পোশাকি পুলিশ ছাড়াও পুলিশের গোয়েন্দা সদস্যরা সর্বদা সতর্ক ও অভিযানে না থাকলে এই জুয়ার কারণে জেলায় আইন শৃ্খংলা নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহলের অভিমত।