জনতার জেস্ক:
`স্বাগত ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, স্বাগত বাংলা নববর্ষের। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ ভোরের আলো ফুটতেই বাংলা নতুন বছর ১৪২৭-কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি জাতি। বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে শুধুমাত্র কিছু টেলিভিশন অনুষ্ঠান ছাড়া ঘরের বাইরে বিশেষ কোনো আয়োজন না রেখেই সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।
‘সরকারি ও বেসরকারি সব টেলিভিশনে একযোগে সম্প্রচারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠান করা হবে বলে সোমবার জানিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ বছর ছায়ানটের শিল্পীরা রমনা পার্কের বটমূলে বিশ্বকবি রাবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গেয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেবেন না
প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বেশ জাঁকজমকভাবে পালন করা হয় বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।
কিন্তু বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ বছর প্রাণঘাতী বিশাল জনসমাগম এড়ানোর জন্য অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে চলমান দুর্যোগের সময়ে রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে না বলে ১ এপ্রিল জানিয়েছিল ছায়ানট।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৬৭ সাল থেকে নিয়মিত বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে আসছে ছায়ানট। শুধু ১৯৭১ এর ব্যতিক্রম হয়েছিল। তবে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছরও তারা এ আয়োজন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।