শেখ সালাউদ্দিন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:
সারা দেশের মত সীতাকুণ্ডেও করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে যাওয়া পৌরসভার হতদরিদ্রদের মাঝে খোলা বাজারে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি আরম্ভ করা হয়েছে। আজ(৭ এপ্রিল)মঙ্গলবার পৌর সদর কলেজ রোডস্থ এলাকায় চাল বিক্রির উদ্বোধন করা হয়।রিক্সাচালক,ভ্যানচালক,পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানী, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, (হিজরা) দিনমজুর ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষ এই বিশেষ ভ্রাম্যমাণ এমএস কর্মসূচির আওতায় থাকবেন।তবে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভোক্তা হিসেবে নির্বাচিত হবেন না বলে জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।তিনি বলেন,কোনো পরিবারের কেউ যদি খাদ্য বান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকে তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।প্রতি ভোক্তা পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন এবং একজন ভোক্তা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সপ্তাহে মাত্র পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। রবিবার, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন সকাল ১০ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন প্রতি ডিলার এক টন করে দুই ডিলার দুই টন অর্থাৎ সপ্তাহে ছয় টন বিক্রি করা হবে। ফলে প্রতি সপ্তাহে এক হাজার দুই শত উপকারভোগী পরিবার এর আওতাভুক্ত থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে তিনি আরো বলেন জেলা খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে একজন ভোক্তা ১০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে এই চাল ক্রয় করা যাবে। ঠিক একই ভাবে ও একই দিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এই চাল বিক্রি কর্মসূচি চলবে । করোনাভাইরাসে ঘরে থাকা বেকার হয়ে যাওয়া হতদরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের খোলা বাজারে চাল বিক্রি আরম্ভ করেছি আমরা। একজন ভোক্তা তার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শণ করে সপ্তাহে ১০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। আর এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১০ একর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।