জাভেদ হুসেন: আমাদের সূর্য যে ছায়াপথে সেখানে নক্ষত্র আছে প্রায় ২৫–৪০ হাজার কোটি। আর হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে যে আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে বিজ্ঞানীরা বলছেন দৃশ্যমান মহাবিশ্বে এ রকম ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির সংখ্যা হতে পারে ১০০ থেকে ২০০ লাখ কোটি।
কিন্তু এগুলো তো কেবল কিছু সংখ্যা। আসলে এই মহাবিশ্ব কত বড়? আলো হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুতগতির। এই আলো এত দ্রুত চলে যে আলোর গতিতে চলতে পারলে এক সেকেন্ডে পৃথিবীকে সাড়ে সাতবার ঘুরে আসা যাবে। আর এই আলোর গতিতে আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গা পার হতে লাগবে দেড় লাখ বছর। এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে আলোর গতিতে গেলে পুরো মহাবিশ্ব পার হতে লাগবে ৯৩০০ কোটি বছর! মনে রাখবেন এ কেবল এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসাব। এটা আরও অকল্পনীয় রকম বড় হতে পারে।
নাসা কেপলার নামে একটি টেলিস্কোপ পাঠায় মহাকাশে। এর প্রধান দায়িত্ব ছিল পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে বের করা। ২০১৩ সালে কেপলার স্পেস মিশনের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে চমকে ওঠেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখলেন, কেবল আমদের ছায়াপথেই সূর্যের মতো নক্ষত্রের বাসযোগ্য এলাকাতে গ্রহের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার কোটি।
বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এই সংখ্যা হয়তো এত বেশি হবে না। কিন্তু এই বছরের আগস্ট মাসে দা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালের সংখ্যায় প্রকাশ পেল যে আমাদের ছায়াপথে কেবল পৃথিবীর মতো উষ্ণ আরামদায়ক গ্রহের সংখ্যা হতে পারে ১ হাজার কোটি! এগুলোতে তরল পানি থাকতে পারে, যা প্রাণের পূর্বশর্ত। সূর্যের মতো নক্ষত্রগুলোর প্রতি চারটির একটিতে পৃথিবীর মতো গ্রহ থাকতে পারে।