করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ইতালি সরকার দেশটির ৬ কোটি মানুষকেই কোয়ারান্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর ফলে সব ধরণের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকার দেশের সব মানুষকে ঘরে থাকতে বলেছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

জীবিকা নির্বাহ বা পারিবারিক জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পাশাপাশি সব ধরণের গণজমায়েত, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও জনসমাগম সংশ্লিষ্ট বিনোদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেফ কোন্তে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেই সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে।

ইতালির ভালোর জন্যই আমাদের কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ জন্যই আরও কঠোর পদক্ষেপ আমাদের নিতে হচ্ছে।

জোসেফ কোন্তে জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থেকেই নতুন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন কার্যকর হবে। ইতালিতে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুসারে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা রাতারাতি বেড়ে গেছে ২৫ শতাংশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬৩।

চীনের পর ইতালিতেই করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯ হাজার ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে এই করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই এ ভাইরাস চীনের বাইরেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর একদিন আগে ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় ১৪টি প্রদেশের এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।

কিন্তু পরিস্থিতি এতো দ্রুত ভয়াবহ মোড় নেয়ায় এবার পুরো ইতালির জনগণকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here