রোগ-বালাই না থাকা আর ভালো লাভ হওয়ায়, নতুন নতুন কৃষকরা এগিয়ে আসছেন মাল্টা চাষে। চলতি বছরে দেড়শ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ১৯২ মেট্রিক টন মাল্টা আবাদ হয়েছে। যার বাজার মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
আগামী বছর দ্বিগুণ মাল্টা উৎপাদনের আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বরিশাল বিভাগে ৬ জেলার মধ্যে মাল্টা উৎপাদনে সবচে এগিয়ে পিরোজপুর। এবার এখানে ৯৫ হেক্টরে ১ হাজার ৫৩ মেট্রিক টন মাল্টা উৎপাদন হয়েছে। বরিশালে ২৬ হেক্টর জমিতে ৫২ মেট্রিক টন, ভোলায় ১৬ হেক্টরে ৩৫ মেট্রিক টন, ঝালকাঠির ১১ ও বরগুনার ১০ হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন করে এবং পটুয়াখালীর ৬ হেক্টর জমিতে ১২ মেট্রিক টন মাল্টা উৎপাদন হয়েছে।
কৃষকরা বলেন, দেড়শ টাকা কেজি দরে উৎপাদিত মাল্টার বাজার মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা। বাজার দর থাকলে ৪ ভাগের ৩ ভাগই লাভ হিসেবে পাওয়ার খুশি কৃষকরা। আবাদ বাড়তে থাকলে, বিদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ১০ বছর আগেও হাতে গোনা কয়েকটি বাগান ছিলো। তবে, ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকরা মাল্টা উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছে। স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভের সুযোগ সৃষ্টি করেছে মাল্টা আবাদ।
বাতাবী লেবু গাছে কলম করে বারি-১ জাতের মাল্টা গাছ কৃষকদের বিতরণ হচ্ছে।