ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাটের প্রতিবাদে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট উওরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের এই সমস্যা জাতীয় সমস্যা। বাংলাদেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু বাস্তবতা নেই। দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষক যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে দুর্নীতি কীভাবে রোধ হবে? আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে।

ব্যাংকিং সেক্টরের আর্থিক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা কেন প্রয়োগ করা হচ্ছে না? বাংলাদেশ ব্যাংকের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন, তারা যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন সেজন্যই আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরা জমায়েত হবো এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করে মিছিল করবো।’

পুরো ব্যাংক ব্যবস্থা চলছে ট্রাস্ট এবং কনফিডেন্সের ভিত্তিতে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘এটা নষ্ট হয়ে গেলে পুরো অর্থনীতি একটা গভীর মন্দার মধ্যে পড়ে যাবে। এর ফলে ঋণ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কেউ ইনভেস্ট করবে না। গভীর মন্দার মধ্যে আমরা পড়বো। তবে এটা ঠিক, ঋণখেলাপিদের আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত করতে পারি। একটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত, আরেকটা হচ্ছে অনিচ্ছাকৃত। ইচ্ছাকৃতরাই হচ্ছে বিরাট এবং শীর্ষ খেলাপি। ’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘যখনই খেলাপি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে বিতর্ক হয়, তখন অর্থমন্ত্রী বলেন এর জন্য ব্যাংকাররা দায়ী। আর ব্যাংকাররা বলেন রাজনীতিবিদরা দায়ী। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে বাংলাদেশে চলছে। আসলে দুটোই সত্য, এর মধ্যে ব্যাংকাররাও দায়ী, রাজনীতিবিদরাও দায়ী। ‘

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গন সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here