হৃদয়ভরা ব্যথা!
মুহাম্মদ নূরুন্নবী
এমন কেনো হয় গো মানুষ!
যদিও শ্রেষ্ঠ প্রাণী মোরা
রাখিতে পারি না হুষ।
বেহুষ হয়ে বেফাঁস কথা বলছি যে অবিরত
কষ্ট দিয়ে প্রতিবেশীকে করছি শুধু বিরক্ত।
অনুরক্ত না হলে পরে দোয়া তারা করবে না
বদদু’য়ায় জুটবে শুধু মন তাতে ভরবে না।
ভরবে না! ভরবে না!
হৃদয়ের প্রশান্তি আসবে না।
অশান্ত হৃদয় কুচিন্তা ছাড়া উত্তম কিছু ভাববে না
উত্তম ভাবনার অভাব বিধায় নিজের ত্রæটি দেখি না।
উঠতে বসতে ভুলের মধ্যে গড়ছি মোদের বসতি
সময় থাকতে না শুধরালে বাড়বে আরো দুর্গতি।
বউ-এর রাগ করছি হজম, হচ্ছে না তো বদহজম
বাসে চড়ে ভাড়া নিয়ে, শুরু করি দমাদম।
গালাগালি মর্জিমতো করছি কী ডোমের মতো?
জুমার দিন মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিনকেও ছাড়ি না।
এখানে ময়লা, ওখানে ময়লা,করো নি কেনো সাফ?
ঘড়িটা যে বন্ধ রয়েছে, দেখবে কী তোর বাপ?
কোরআন শরীফ এখানে কেনো? সেলফে রাখতে পারো নি।
জায়নমাজ যে হয়েছে ময়লা, চোখে কী দেখো নি!
কমোডেও দাগ পড়েছে, খেয়াল যে করো নি!
কী কপালপোড়া!
যার মর্যাদা দুই জাহানে সমুন্নত সমুজ্জ¦ল
তারি সাথে এরূপ করা হচ্ছে কী মঙ্গল!
মুয়াজ্জিনের সব দোষ দেখি,নিজের দোষ নিজে ঢাকি,
লোক দেখানো ইবাদাতের রূপতো কম দেখায় না!
যদিও দাঁড়ায় সালাতে মোবাইল বন্ধ রাখি না
মোবাইলের নিরস রিং-এ মনোযোগ কী দিই না?
জুতোজোড়াতো রেখেছি বাইরে, মন যে গেলো মসজিদের দ্বারে
মনোভাব এরূপ রাখলে পরে মানুষ কী বলে তারে?
চিন্তা করুণ,চিন্তা করুণ,সময়তো ফুরোয় নি এখন
সাবধানতো হওয়া চাই!
ওরাও মানুষ,আছে ওদের মান
জানাই তাদের অশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান।
