আগামী ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত গোলাপি টেস্ট ম্যাচ। ঐতিহাসিক এই টেস্ট উপলক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসহ গোটা ইতি ম্যধে কলকাতাতেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কলকাতায় এসে পৌঁছেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ এই টেস্ট শুরুর আগে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে কিভাবে আক্রমণাত্মক না হয়ে বরং বাংলাদেশি স্পিনারদের মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন টাইগার স্পিন পরামর্শক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। দেশের মাটিতে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপক্ষে সবসময় দুর্দান্ত ভারতের ব্যাটসম্যানরা। এজন্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রান আটকানোর দিকে নজর দিতে বললেন ভেট্টোরি।
ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানে পরাজিত হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনারদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আগামী শুক্রবার কলকাতায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। যা দিবা-রাত্রির টেস্ট। তাই শিশিরের কারণে ফ্লাড লাইটে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা বোলারদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে।
ভেট্টোটি মনে করছেন দিনের আলোতে স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং রাতের বেলাটা তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হতে পারে। তবে ভারতীয়রা যেহেতু স্পিনারদের ভালো খেলে থাকে, তাই ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনারদের ভাল সুযোগও দেখছেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতের মাটিতে ৮ ম্যাচে ৩১ উইকেট নেয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ভেট্টোরি বলেন, ‘ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে স্পিন বোলিং আমার জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গেল তিন-চার বছর ধরে সফরকারী স্পিনারদের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলছে ভারতীয়রা। বাইরের স্পিনাররা যারাই এখানে খেলেছেন সকলেই অনেক চাপের মধ্যে পড়েছেন, আর এটি হয়েছে উইকেটের প্রকৃতির কারণে। এছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অনেক দক্ষতাও রয়েছে। এখানে বাইরের দেশের স্পিনারদের ভাল করা কঠিন। কারণ ভারতের উন্নতমানের ব্যাটসম্যান রয়েছে।’
‘আমরা দেখেছি আমাদের স্পিনারদের কতটা চাপে রেখেছে মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এমনকি আজিঙ্কা রাহানেও। তাই এটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। ইন্দোরে উইকেট ভালো ছিল। তবে কাজ করার মত অনেক কিছুই ছিল না। এখানেও একই রকম উইকেট থাকতে পারে।’
তাই ভেট্টোরির পরামর্শ হলো- স্পিনারদের মিতব্যয়ী হতে হবে এবং ব্যাটসম্যানদের উপর যতটা সম্ভব চাপ সৃষ্টি করতে হবে।