প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০০-২৫০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আড়তে বিপুল পিয়াজ সংগ্রহে রেখে বেশি দামে বিক্রির আশা অনেকের ভেস্তে গেছে।
দেখা গেচ্ছে কয়েকটি আড়তে পচে যাওয়া মিয়ানমারের পিয়াজ ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদীতে-ভাগাড়ে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গি বাজার ব্রিজঘাট এলাকায় ১০-১৫ বস্তা পচা পিয়াজ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে খাতুনগঞ্জে সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড় থেকে প্রায় ২০ টন পচা পেঁয়াজ সরিয়েছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) খাতুনগঞ্জে কয়েকটি আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বস্তাভর্তি পেঁয়াজ পচে মাটিতে পড়ে আছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। শ্রমিকরা এসব পেঁয়াজ ভাগাড়ে নিয়ে ফেলছেন।
জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় গরমে পিয়াজ পচে যাচ্ছে। যেগুলো ভালো থাকছে সেগুলোরও মান কমে যাচ্ছে। এতে আমদানিকারকরা লোকসানে পড়ছেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল বশর বলেন, খাতুনগঞ্জে ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজের আড়ত আছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এখানে আসতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়। এরপর আড়তে রাখা পেঁয়াজ দ্রুত পচে যাচ্ছে। প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী ব্রীজ ঘাট এলাকার স্থানীয়রা জানান, খাতুনগঞ্জ থেকে বস্তাভর্তি পচা পেয়াজ কম দামে কিনে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নদীর পাড়ে শুকাতে দেন। এরপর অধিকাংশ নষ্ট পেঁয়াজ সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। তুলনামূলক ভালো পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকায় স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।