ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলার উপ-পরিচালক এম মাকসুদুর রহমান রমজান মাসে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষকদের কে জন প্রতি ১০০০ টাকা করে বাধ্যতামূলকভাবে যাকাত দেওয়ার জন্য চাপ সৃস্টি করেন। যদিও রমজান মাসে যাকাত আদায়ের নিয়ম থাকলেও তিনি জুলাই মাসে এই যাকাত আদায় করেন।
অনুসন্ধানে একাধিক শিক্ষককে ফোন করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান যায় যে, অনেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০০ থেকে ১০,০০০টাকা পর্যন্ত এই টাকা আদায় করেন। এতে জেলার ১১৫০জন শিক্ষকের নিকট থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা যাকাতের নামে চাদা আদায় করেন। কিন্তু সরকারী যাকাত ফান্ডে মাত্র ১১ লক্ষ টাকা জমা দেখান।
অথচ দেশের বিত্তবানদের নিকট থেকে যাকাত আদায় না করে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার মাত্র ৫০০০ টাকা বেতনে চাকরী করা শিক্ষকদের নিকট থেকে জুলাই মাসে কোন নিয়ম নীতি না মেনে জোর জবরদস্তি ভাবে জাকাতের নামে এই টাকা আদায় করেন। অনুসন্ধান কালে ভুক্তভুগী শিক্ষকরা তাদের অসহায়ত্বয়ের কথা প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে উপ-পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে ০১৮১৮২৫১০৪১ নম্বরে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়া উপ-পরিচালক মাকসুদুর রহমান ভোলায় যোগদান করে ফিল্ড সুপারভাইজার আহমদ রশিদ ওরফে আরাফাত এবং জাহিদ হোসেন নিয়ে সিন্ডিকেট গরে তোলেন। জাহিদ ও আরাফাতের নেতৃত্বে সুকৌশলে ভোলা জেলার দারুল আরকাম মাদরাসার শিক্ষকদের প্রত্যায়ন পত্র দেওয়ার নামে প্রত্যেক শিক্ষকের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ আদায় করেন। ডিডি জাহিদ ও আরাফাতের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায় ও স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় শিক্ষকরা চাকরী হারানোর ভয়ে কোন কথা বলার সাহস পায়না। ২০হাজার করে টাকা না দিলে চাকরী থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে একাধিক শিক্ষকের সাথে আলাপকালে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
ডিডি মাকসুদুর রহমান ও আহম্মদ রশিদ যোগসুত্রে ২০২২ সালে বাদ পরা ২৩জন শিক্ষকের বহাল করার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকা করে মোট ১২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন। উপ-পরিচালক মাকসুদুর রহমান ও আহম্মদ রশিদ আরাফাত ও জাহিদ সুকৌশলে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষার শিক্ষকদের নিকট থেকে ১ বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি পরায়ন ডিডি মাকসুদ ও সুপারভাইজার আরাফাত ও জাহিদ ভোলায় থাকলে শিক্ষকরা সর্বশান্ত হয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অধিকাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন, দুর্নীতি গ্রস্থ ডিডি মাকসুদ ও সুপারভাইজার আরাফাত ও জাহিদ ইতিপূর্বে যেসব জায়গায় চাকরী করেছেন সেখানেও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।
