আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম-এসএম হল থেকে বহিরাগত তাড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুজন(৩০) নামের এক বহিরাগত আহত হয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের ১৫২নং কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক খান মিলন হোসাইন নিরবের আশ্রয়ে সুজন নামের এক ব্যক্তি প্রায় তিন বছর যাবত অবৈধভাবে থাকছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসএম হলে আবাসন সংকটের কারণে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গণরুম ও বারান্দায় থাকলেও ওই কক্ষটিতে তারা দু’জনই থাকেন।
আজ বিকেলে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের নেতৃত্বে ওই কক্ষে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিক্ষুব্ধরা। বহিরাগত সুজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার বিছানাপত্র রুম থেকে বের করে দেয় তারা। পরে খবর পেয়ে মিলন তার অনুসারীদের ডেকে লাঠিসোটা ও রড নিয়ে ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
হট্টগোল শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এসএম হলের ভিপি এমএম কামাল উদ্দিন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তাহসান আহমেদ রাসেল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে হাউজ টিউটররা এসে বহিরাগত সুজনকে হল থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন।
তবে, এরপরও উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটিকাটি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হলে সন্ধ্যা নাগাদ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে।
হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, অনেক দিন থেকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে যে মিলন তার কক্ষে এক বহিরাগত রাখে। আজ আমরা ওই বহিরাগতকে উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রুমের সামনে যাওয়ার পর সে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে পরে তাকে মারধর করে। এরপরে মিলনও তার লোকজন নিয়ে আসলে উত্তেজনা তৈরি হয়। হল সংসদের ভিপি এটা সমাধান করেছেন।
বহিরাগত রাখার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মিলন হোসাইন নিরব বলেন, ‘সে অসুস্থ। মাঝে মাঝে চিকিৎসা নিতে ঢাকা আসলে এখানে থাকতো।’ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, পিয়াস নামে একজনের সাথে রুম নিয়ে ঝামেলা ছিলো। সেটি নিয়ে বিতর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের নিয়মের বাহিরে কেন রুমের ভাগ-বাটোয়ারা করছেন-প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি হল সংসদের নেতা, পাশাপাশি ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেড। কিছু বিষয় তো দেখতে হয়। আর এই রুমে আগে এর পলিটিক্যাল ভাই ছিলো। কক্ষ বরাদ্দ দিলে ঝামেলা হতে পারে- এই আশঙ্কায় হল প্রভোস্টও এখানে বরাদ্দ দেন না।
এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।