জনতার ডেস্কঃ
ভাসানচরে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের বিনোদনের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ এক পিকনিকের আয়োজন করা হয়। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মহিলার অংশগ্রহণে মুখরিত ছিল এই আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাসানচরে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের বিনোদনের জন্য এই পিকনিকের ব্যবস্থা করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ভাসানচরে পাঁচ নম্বর ক্লাস্টারের পাশে খেলার মাঠে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করে এসব আয়োজন করা হয়।
এজন্য চট্টগ্রাম থেকে আনা হয় ১৫ জন অভিজ্ঞ বাবুর্চি। তারা ২৮ মণ মাংস ও দুই মণ ডাল দিয়ে তৈরি করেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান। যা দিয়ে দুপুরে খাওয়ার খায়ানো হয় ৩ হাজার ৭৫২ জন রোহিঙ্গাসহ চার হাজার লোককে।
সকালে রোহিঙ্গা শিশুদের অংশগ্রহণে ছিলো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। যাতে শিশুরা দৌড়, মোরগের লড়াই, রশি টানাটানিসহ নানান প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন।
মহিলাদের বালিশ খেলা ছিল চোখে পড়ার মত। এজন্য মাঠের মাজখানে বেশ কিছু চেয়ার দিয়ে তৈরি করা হয় খেলার প্যান্ডেল। বালিশ খেলায় অংশ নিতে আসেন মিনোয়ারা বেগম ( ৩০)। তিনি বসবাস করেন ১০ নম্বর ক্লাস্টারের ১৩ নম্বর বাসায়।
মিনোয়ারা জানায়, ভাসানচর আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে। আজকের এই আয়োজন আমাদের সকলকে অনেক আনন্দ দিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীর স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার