বাংলাদেশে সৌর প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ কারে তিনি এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ওয়াং ই আরো জানান, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে চায় তার দেশ।
নিউর্ক সময় বুধবার বিকেলে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে উভয়ের সাক্ষাৎ হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে যদি চীনা বিনিয়োগ আসে, তাহলে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে কারণ এই বিশাল বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ এই বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে এবং সৌর প্যানেলের প্রধান রফতানিকারক দেশে পরিনত হবে।

চীন বাংলাদেশের সাথে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’ জোরদার করতে চায় বলে জানান প্রেস সচিব।

তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আপনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন।’

ওয়াং ই আরো বলেন, বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনা প্রস্তুতকারকদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে।

গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এই আহ্বান জানান।

বেইজিং দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে বলে জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শূন্য শুল্ক সুবিধা দেয়া নিয়ে চীনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও লাভবান হবে।

তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মারাত্মকভাবে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার জন্য চীনের রেড ক্রস চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে।

চীন বাংলাদেশ থেকে আরো শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে বলে উল্লেখ করেন ওয়াং ই।

চীনের এই আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস। কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে চীনের ‘বিস্ময়কর’ প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দেবে।

এসময় অন্যান্য চীনা নির্মাতাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

এছাড়াও তিনি চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘নতুন অধ্যায়ের’ শুরুর বিষয়ে জোর দেন।

পাশাপাশি দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে এক হয়ে কাজ করতে পছন্দ করব। আমাদের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here