শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
দীর্ঘদিন একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীদের যে একাডেমিক ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন চত্বরে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও কার্যকরভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে। এই ট্রমা নিরসন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য বিভিন্ন অনুষদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।