শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপর ১২টায় আবদুল বাছির মৌখিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ও লিখিত পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন।

উপাচার্য বরাবর অধ্যাপক নিসারও একটি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

 

সোমবার সকালে আবদুল বাছিরের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদের সামনে মিছিল করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যাপক আবদুল বাছির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে ছিলেন। এছাড়া রমজান মাসে বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে শিক্ষার্থীদের ‘কেন শাস্তি দেওয়া হবে না’-মর্মে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর শোকজপত্র দিয়েছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ডিন অফিসে কোরআন তেলাওয়াত করেন ও আবদুল বাছিরকে নিয়ে মোনাজাত দিয়েছেন।

পদত্যাগের বিষয়ে অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, আমি নিজ থেকেই পদত্যাগের বিষয়ে প্রস্তুত ছিলাম। আমি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে যেতে চাইনি। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে চাপ দেওয়ার কারণে শোকজপত্র দিয়েছিলেন বলেও শিক্ষার্থীদের জানান তিনি।

অন্যদিকে পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক নিসার হোসেন উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গণহত্যা ও স্বৈরাচারিতার পক্ষে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ডিনের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি সংবলিত একটি চিঠি আমার হাতে এসেছে।

‘তাদের অভিযোগ কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ ও পদত্যাগের দাবি কতটা যৌক্তিক তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার পক্ষ থেকে আবেদন করার কোনো সুযোগ বর্তমান পরিস্থিতিতে নেই বিধায় আমি উক্ত অভিযোগ আমলে না নিয়েও আমাকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, উপাচার্য না থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকগুলো ফাইল আটকে আছে। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর এ পদত্যাগগুলো কার্যকর হবে।