ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সকল প্রকার বৈষম্য,ফ্যাসিবাদে লিপ্ত দালাল মুক্ত করণের দাবি ও চট্টগ্রামের স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক গুলোতে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার ১৪ আগষ্ট বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য চট্টগ্রামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ছাদ ও কার্যালয়ের ভেতর থেকে ইট পাটকেল সহকারে হামলা করে বহিষ্কৃত প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
তাৎক্ষণিক পাল্টা প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশের উপস্থিত সাংবাদিক এবং ছাত্র জনতা প্রেসক্লাবের ভেতরে থাকা হামলাকারীদের উপর চড়াও হয়। নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসক্লাব নিয়ন্ত্রণে আনেন পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করার দায়িত্ব দিয়ে চলে যান।
বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ নেওয়াজ ও বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক আরিয়ান লেলিন।
উল্লেখ্য,শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদের দোসর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া,নিউজ করা ও পুলিশ ভ্যানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তুলে দেয়ার মতো নেককার জনক ঘটনার প্রতিবাদে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব দখলে নেয় বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ।
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বহিষ্কৃত প্রেসক্লাব নেতারা বিভিন্ন প্রকার ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। চট্টগ্রামের স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক গুলোতে মিথ্যাচার শুরু করে। উক্ত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধীরা এতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিলুপ্ত কমিটির হামলায় বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এসময় উপর থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বাংলা দৈনিক অনলাইন নিউজ পোর্টালের চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ইসমাইল ইমন হাতে আঘাত প্রাপ্ত হন।