চট্টগ্রামে মন্দির-থানা পাহারা দিচ্ছে জামায়াত

গণআন্দোলনে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। এ অবস্থায় নাশকতাকারীদের হাত থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দির রক্ষায় পাহারা বসিয়েছেন জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার থেকে আগ্রাবাদ বৌদ্ধ মন্দির পাহারা দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের নেতারা।

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন স্থাপনায় আমাদের নেতাকর্মীরা পাহারা বসিয়েছেন।

শুধু নগর নয়, জেলার সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলায় জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিচ্ছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।

 

চট্টগ্রামে মন্দির-থানা পাহারা দিচ্ছে জামায়াত

সীতাকুণ্ড জামায়াতে ইসলামীর নেতা অ্যাডভোকেট হুসাইন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, ‘সীতাকুণ্ড থানায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের কার্যক্রম এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আশ্বস্ত করেছি। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীরা রাত জেগে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ধর্মীয় প্রার্থনালয় ও জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। কেউ যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করতে না পারে, সেদিকেও আমাদের কর্মীরা সজাগ রয়েছে।’

এদিকে বুধবার থেকে নগরের কোতোয়ালি থানাসহ প্রায় সব থানায় পাহারা দিচ্ছে ১৫-১৮ জামায়াত কর্মীর এক একটি গ্রুপ।

নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. মোরশেদুল ইসলাম বলেন, শুধু কোতোয়ালি নয়, ডবলমুরিং; পতেঙ্গা; পাঁচলাইশ; চান্দগাঁওসহ নগরের ১৬টি থানাতেই আমাদের পাহারা আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পাঁচলাইশ থানার সামনে ১৫-১৬ জন নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করছিলেন থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কোনো দুর্বৃত্তকে রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান লুটপাট করতে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা এখানে অবস্থান করছি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে চলা অস্থির অবস্থার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে চট্টগ্রাম। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সড়কে বেড়েছে গণপরিহনের উপস্থিতি।