যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী এবং ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের ভূমিকার সমালোচনা করে সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অংশ নিচ্ছে।

সামাজিক মিডিয়ার পোস্ট এবং স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, এমআইট, টাফটস ইউনিভার্সিটি, ইমারসন কলেজসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাঁটিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছে।

কোনো কোনো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে ‘নদী থেকে সাগর পর্যন্ত’ সাইনও দেখা যায়। উল্লেখ্য, এ দিয়ে ফিলিস্তিনিরা জর্ডান নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়ে থাকে।

এমআইটিতে ছাত্ররা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতার সমালোচনা করে। তারা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সাথে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানায়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে এবং লস অ্যাঞ্জেলসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁবু খাঁটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

সবচেয়ে তীব্র বিক্ষোভ হচ্ছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বানার্ড কলেজের সাথে সম্পর্কিত প্রখ্যাত রাব্বি ইলি বুচলার ‘চরম সেমিটিজম বিরোধিতার’ কারণে ইহুদি ছাত্রদেরকে বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিয়েছে।এর ফলে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভের পর নিউইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার এক বিবৃতিতে কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুচে শফিক বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ইহুদিবিদ্বেষী ভাষা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বাতিল করছে।

শফিক বলেন, ‘এসকল উত্তেজনা কলাম্বিয়ার সাথে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে এবং যারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা পূরণ করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন তাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে।’

গাজায় ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একটি শিবির খালি করার জন্য শফিক নিউইয়র্ক পুলিশকে অনুমতি দেয়ার পরে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং ভয়েস অব আমেরিকা