নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা নিয়ে জটিলতার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিকে অভিশংসন (ইমপিচমেন্ট) করার গুঞ্জন ওঠেছে। তবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিশংসনের মাধ্যমে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরিয়ে দেয়া উচিত।
জুলফিকার আলী ভুট্টো মৃত্যুদণ্ডাদেশ রেফারেন্স শুনানির পর ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতি আলভির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি কট্টর ইমরানপন্থী হিসেবে পরিচিত।
বিলওয়ালের এই মন্তব্য করার এক দিন আগে জাতীয় পরিষদের সচিবালয় ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আলভি সংবিধানে উল্লেখিত ২১ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকার সারসংক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেন।
আলভি মনে করেন, সংরক্ষিত সকল আসন বণ্টনের আগে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন তলব করা ঠিক নয়।
এদিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত আসনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বণ্টন করলেও সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) জন্য কিছুই বরাদ্দ রাখেননি। উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সদস্যরা এই দলে যোগ দিয়েছেন। তারা এখন সংরক্ষিত আসন দাবি করছে।
তবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমরান খান সরকারের পতনের পর গঠিত সরকারের অনেক পদক্ষেপই আটকে দিয়েছেন আলভি। এমন প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ তাকে অভিসংশন করতে চান বলে জানিয়েছেন।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, ডন