ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে নতুন যে সরকার গঠন করার পরিকল্পনা করছে, তাতে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতিয়ার সরকার ভেঙে দেয়ার যে কথা বলছে, সে ব্যাপারে তারা কিছুই ভাবছে না। আল আরাবিয়া রোববার এ খবর প্রকাশ করেছে।
হামাসের একটি সূত্র সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল আরাবিয়াকে জানায়, মোহাম্মদ শাতিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং [মাহমুদ] আব্বাস এমনকি আরো দুর্নীতিবাজ কাউকে ওই পদে নিয়োগ করবেন।’
সূত্রটি জানায়, হামাসের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ ও জাতীয় সরকার গঠন করা। সূত্রটি আরো জনায়, আসন্ন মস্কো আলোচনায় যে ঐক্য সরকার গঠিত হতে পারে সেটি ‘সুস্পষ্ট দায়িত্ব নিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ’ পর্যন্ত কাজ করতে পারে।
আজ সোমবার মস্কোতে ফিলিস্তিনি ঐক্য আলোচনা শুরু হবে।
স্কাই নিউজ আরাবিয়া ফিলিস্তিনি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই আলোচনা সফল হলে শাতিয়া পদত্যাগ করে নতুন, টেকনোক্র্যাট একটি সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতে পারেন।
কাতারের একটি সূত্র এর আগে জানিয়েছিল, এ ধরনের একটি সরকার গঠনে হামাস রাজি হয়েছে।
কিন্তু আল আরাবিয়ার খবরে লেবাননে হামাসের মিডিয়া মুখপাত্র ওয়ালিদ আল-কিলানির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, এই সরকার গঠন হবে আমেরিকার দাবির কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নতি স্বীকারের ফল। এই সরকার পরিবর্তন ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থে করা হচ্ছে না।
আল-কিলানি বলেন, ‘এটি হলো সরকার সংশোধন করতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আমেরিকার দাবির জবাব।’
তিনি বলেন, ‘এসব পরিবর্তন ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ পূরণ করবে না বা ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যত স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে না বা তাদের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থঅ করবে না। এটি মার্কিন প্রশাসনের চাহিদার আলোকে করা হচ্ছে।’
হামাসের মিডিয়া মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমেরিকার তহবিল নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তবে ফাতাহর মুখপাত্র আবদেল ফাত্তাহ দৌলা সৌদি নিউজ নেটওয়ার্ককে জানিয়েছে, পরবর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্য হবে ফিলিস্তিনিদের সামগ্রিক স্বার্থ দেখা।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনে হামাসের যোগদান নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে যুদ্ধ বন্ধ করা।
এদিকে হামাস রোববার তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের দৃশ্যমান বিভক্তির কথা অস্বীকার করেছে।
হামাস জানিয়েছে, ফাতাহ গ্রুপের সাথে তাদের কোনো দূরত্ব নেই। আলোচনার জন্য সবার দরজা খোলা। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থে আমরা আলোচনা করতে রাজি।