অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের অধিকার ও কল্যানে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিবাসী কর্মীর সেবা কার্যক্রমে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরস্থ সেবা প্রদানকারি সংস্থার সমন্বয়ে অভিবাসী কর্মীর সেবা প্রদান শীর্ষক সেমিনার আজ চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে অনুষ্টিত হয়।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রাম এবং প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর-এর যৌথ আয়োজনে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সিমস্ প্রজেক্টের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্টিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ পিএসসি।
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি)’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-এর অধ্যক্ষ্য প্রকৌশলী আশরিফা তানজিম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-প্রত্যাশীর পরিচালক (কর্মসূচি)বৃন্দ সৈয়দ শহীদ উদ্দীন এবং আব্দুস সামাদ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান ফেরদৌস খায়ের। কর্মশালায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাউজান টেকনিক্যাল ট্র্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী শ্যামল বড়ুয়া, জেলা তথ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মীর হোছাইন আহসানুল কবির, গাউছুল আজম মাইজাভান্ডারী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন, পুলিশ পরিদর্শক (ইমিগ্রেশান) মোঃ নুর আমিন হক প্রমূখ।
সেমিনারে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক-এর শিফট ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম এবং সিমস প্রকল্প বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রত্যাশী সিমস্ প্রকল্প ব্যবস্থাপক বশির আহম্মদ মনি (সূফি মনি)। প্রধান অতিথি পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ পিএসসি বলেন- রেমিট্যান্স যোদ্ধা তথা অভিবাসী কর্মীরাই মূলত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি। এ সময় তিনি দক্ষ হয়ে বিদেশ যাওয়া এবং ব্যাংক চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন- যাত্রীদের বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি আন্তরিকতা বৃদ্ধিতে বিমান বন্দর কর্মীদের আরো কাউন্সিলিং প্রয়োজন। বিমান বন্দরের সেবা বৃদ্ধিকরণে সিভিল এভিয়েশনের উদ্যোগে একটি মাস্টার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা যেমন আছে তেমনি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতাও অনেক বেশী প্রয়োজন। তিনি বিমান বন্দরের সেবার মান উন্নয়নে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের প্রতি গুরুত্বারোপ করে চলমান উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন- অভিবাসিরা দেশের সম্পদ। প্রবাসি কর্মীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতকরণে সরকারি-বেসরকারিদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ও সমন্বয় স্থাপনে একযোগে কাজ করতে হবে। সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা অভিবাসী শ্রমিকদের মালামালের সুরক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কার্যকর ভাবে উন্নত করা, কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের জরুরী সেবা (মেডিক্যাল, মনোসামাজিক কাউন্সিলিং, খাদ্য সহায়তা ইত্যাদি) প্রদান সহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। বক্তারা এ সময় শ্রম অভিবাসন আরো সহজ ও নিরাপদ করতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পারষ্পরিক সহযোগীতার ক্ষেত্র অধিকতর প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে বিমান বন্দরে কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিবর্গ, রিক্রুটিং এজেন্সী প্রতিনিধি, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তাবৃৃন্দ, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি সহ বিদেশ ফেরৎ অভিবাসী কর্মীবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।