বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর বাবর আজম, প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন এবং দলের পরিচালক মিকি আর্থারের পক্ষে নেতৃত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে গেছে। খবর ক্রিকেট পাকিস্তানের।
সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে থেকেই এই নিয়ে বোর্ডের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। সাদা বলের ক্রিকেটে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবু কিছু মহল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাবরকে অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে বিদেশিদের ওপর নির্ভর না করে স্থানীয় কোচ নিয়োগের দিকে নজর দেওয়ার কথা ভাবছে বোর্ড। এ বিষয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এদিকে গতকালও ম্যাচশেষে অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় বাবরকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি কি নিজে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান? ইডেন ছাড়ার আগে এই প্রশ্নের জবাব দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
৯ ম্যাচের মধ্যে ৪ জয়। আর ইডেনে ইংল্যান্ডের কাছে শেষ ম্যাচে হার ৯৩ রানে। ম্যাচশেষে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবর বলেন, আমরা বিশ্বকাপে অনেক ভুল করেছি। সেগুলো শুধরাতে হবে। তবে এর মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিকও দেখা গেছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। এখনো অধিনায়ক থাকতে চাই। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আবার নতুন করে একটা ভালো দল তৈরি করতে চাই।
বাবরের এ উত্তর থেকে পরিষ্কার, তিনি নিজে নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু ভাবছেন না। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে নিয়ে কী ভাবছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে পাক অধিনায়ক বিশ্বকাপে খারাপ খেলার জন্য একটি ম্যাচকে দায়ী করেছেন আর সেটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার। বাবর বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার সব বদলে দিয়েছে। ওই ম্যাচটিতে জয় পেলে পরের ছবিটা অন্য রকম হতো। তার আগে আমরা ভালো খেলছিলাম। ওই একটা হার আমাদের মনোবলে বড় ধাক্কা দেয়।
তবে বাবর এও স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তান ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অনেক ভুল করেছেন। যার খেসারত দিতে হয়েছে পুরো দলকে। বাবর বলেন, আমরা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অনেক ভুল করেছি। এটা স্বীকার করতেই হবে। আমরা প্রতি ম্যাচে ২০-৩০ রান বেশি দিয়েছি। ক্যাচ ফেলেছি। স্পিনাররা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে ব্যর্থ ছিল। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারলে বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় জয় কঠিন। সেসব ভুল আমাদের শুধরাতে হবে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এ নিয়ে টানা তিন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো পাকিস্তান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই পাকিস্তানকে শেষ চারে দেখছিল। কিন্তু সবাইকে হতাশ করেছেন বাবররা।