ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাচ্ছেন ৯৬ ব্যবসায়ী। প্রাথমিকভাবে এ তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাবেন।

পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ পাঁচ হাজার টনের নিচে। যদিও দুর্গাপূজা সামনে রেখে এবারও পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ইলিশ আমদানির আবেদন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ব্যবসায়ীদের দাবি পুরোটাই পূরণ করা হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা দেখে শর্ত সাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।

শর্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কায়িক পরীক্ষা করানো ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া। এরই মধ্যে ইলিশের রপ্তানির পরিমাণ ও ব্যবসায়ীদের তালিকা চ‚ড়ান্ত করার কাজ চলছে। এরপর সেটি বাণিজ্যমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন। আশা করছি, শিগগিরই এ ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করা হবে।

এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে একশ ব্যবসায়ী আবেদন করেন।

এদিকে দুর্গাপূজা শুরু হবে অক্টোবরের শেষ ভাগে। অক্টোবরে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর থেকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার তাই আগেভাগেই ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেবে বলে জানা গেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, তা নজরদারিও করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়।

বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএফইএ) হিসাবে, দেশে বছরে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। তা থেকে রপ্তানি যেটুকু হয়, তা খুবই সামান্য। এ কারণে দাম ও সরবরাহে খুব একটা প্রভাব পড়ে না বাজারে।

বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি: সম্প্রতি কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) শামছুল আরিফ ভারতে ইলিশ আমদানির অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির জন্য ৬০ দিন সময় চেয়েছেন। এতে কলকাতার ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমরা কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছি। আমরা অনুরোধ করেছি যেন ইলিশ আমদানিতে আমাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়। যেমন গত বছর আমরা ২ হাজার ৯০০ টন আমদানির অনুমতি পেলেও সময়ের অভাবে এক হাজার ৩০০ টন ইলিশ আমদানি করতে পেরেছি।