চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দু’টি মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন পথচারী নারী নিলুপা আক্তার মাসুদা (৩৫)।

বুধবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মাসুদা মিরসরাই উপজেলার সৈদালী এলাকার প্রবাসী ফখরুল ইসলামের স্ত্রী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিরসরাই সরকারি মডেল স্কুলের সামনে দ্রুতগামী বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় বাসের যাত্রী, পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মিরসরাই সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতাল ও মাতৃকা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতের মধ্যে নিলুপা আক্তার মাসুদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত মাসুদার আত্মীয় জিয়াউল হক বলেন, মঙ্গলবার সকালে মেয়ের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন নিয়ে জটিলতা নিরসনে ভাই ও মেয়েকে নিয়ে মিরসরাই সদরে অবস্থিত বিকাশের অফিসে যাচ্ছিলেন মাসুদা। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত হয় তারা তিনজন।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের মালিক বাস চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মিরসরাই সদরের ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায় সিডিএম পরিবহনের একটি বাস। বাস দু’টি চলতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর মিরসরাই সরকারি মডেল স্কুলের সামনে আটকে যাওয়া শ্যামলী বাস থেকে ছুটতে বাম দিকে মোড় নিলে সাথে সাথে সড়কের পাশে পার্কিং করা দু’টি মাইক্রোকে চাপা দেয় সিডিএম বাস। এ সময় স্কুলের দেয়ালের সাথে আটকে বেশ কয়েকজন পথচারী এবং বাসে থাকা সব যাত্রী আহত হয়।