চট্টগ্রাম বন্দরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে। নবনির্মিত পিসিটি, এনসিটি ও বেটার্মিনাল এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বিভিন্ন দেশের অপারেটররা। এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়ার ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই বিদেশিদের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। মাতারবাড়ী টার্মিনালের নির্মাণকাজ এ বছর শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বন্দর ভবনে চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দরের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, সদস্য (অর্থ) শহীদুল আলম, পরিচালক মমিনুর রশিদ, সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য টার্মিনাল নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যা করলে বন্দরের স্বার্থ রক্ষা হবে, আমরা তা-ই করব। বিদেশি দক্ষ অপারেটর এলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে। বন্দরকে অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।’

মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং অব্যাহত রাখা গেলে ২০২৪ সালের মধ্যে ১১ বা সাড়ে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজও জেটিতে ভেড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে কনটেইনার জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়তে পারছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কনটেইনার ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টিইইউএস ও ৪ হাজার ২৫৩টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। সাধারণ কার্গো ওঠানামা হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ টন।

নদীতে বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম শহরের অনেক বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। অনেক বর্জ্য আমরা সরিয়েছি। এটি প্রাকৃতিক চ্যানেল। আগামী বছরের মধ্যে ১১ মিটার বা সাড়ে ১১ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানো সম্ভব হবে আশা করি। সুতরাং বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।