দেশে কোনোভাবেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল রোধ করা যাচ্ছে না। এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯২ হাজার ২৪ জন। তাদের মধ্যে ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩৪ জন ঢাকায় এবং ১ হাজার ৩১৫ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে।

বুধবার দেশের চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীর চাপে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল হিমশিম খেলেও চারটি বড় সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৫৬টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। এর ফলে হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ কমে এসেছে।

ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও অনেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর শয্যা এখনো ফাঁকা।

বিশেষ করে ডিএনসিসি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল। এ হাসপাতালগুলোতে ৯৫৬টি ডেঙ্গুর শয্যা ফাঁকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। অধিদপ্তরে এনএস-১ পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুত আছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। যাতে করে তারা দ্রুততম সময়ে নিজেদের চাহিদামতো কিট কিনে নিতে পারে। স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়েছি-বাজারে আইভি ফ্লুইডের (স্যালাইন) সংকট রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংকট নেই। বেসরকারি হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে হয়তো ঠিকমতো স্যালাইন পাচ্ছে না। কিছু জায়গা থেকে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ আগস্ট মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সংকটের বিষয়টি দেখছি। আইভি ফ্লুইডের সংকট থাকায় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে-দ্রুততম সময়ে তা আমদানি করার। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে ইডিসিএলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।