একটানা প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অনেক এলাকা। সড়ক অলিগলি বাড়িঘর দোকান পানির নিচে। আজ (রোববার) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উঁচু জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধ নগরী এখন চট্টগ্রাম। টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় ২৫০টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

 

 

বহু বছর ধরে শত শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে। কিন্তু সুফল যে মেলেনি তা নগরীর হর্তাকর্তা থেকে সাধারণ মানুষ আবারও টের পাচ্ছে গেলো তিনদিন ধরে একরকম জলবন্দি জীবন কাটিয়ে।

নগরীর বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনও কয়েদিন ধরে জলে ডুবে আছে। কোমর সমান পানির মধ্যে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মেয়র।

এরকম অনেক বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে আছে। রোববার সকাল থেকে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসে হিসাবে, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম নগরীতে সর্বোচ্চ ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নগরীর নিচু এলাকাগুলো ডুবে আছে। বহাদ্দার হাট, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, মুরাদপুর, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, সিডিএ, হালিশহর অনেক এলাকা, সড়ক ও অলিগলিতে কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর সমান পানি। সেই পানি ভেঙ্গেই চলছে দুর্ভোগের জীবন।

টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। নগরীর আকবার শাহসহ বেশ কিছু স্থানে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ২৫০টি পরিবারকে শনিবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি হতে পারে আরও দুইদিন। সমুদ্র ও নদীবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।