বাংলাদেশে এখন চলছে মধুমাস। এই মাসে মৌসুমী ফলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে প্রতিটি স্থানীয় বাজার। আম কাঁঠাল লিচু এর মত রসালো ফল এ মাসে পাওয়া যায়। কিন্তু ফলের রাজা আমের ব্যাপারটাই অন্যরকম। আম পছন্দ করেনা এমন বাঙালি খুব কমই আছে।
আমের কথা বললেই আগে মনে ভেসে ওঠে আমের শহর রাজশাহীর নাম। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম দেশ ও বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। এই দুইটি জেলা ছাড়াও সাতক্ষীরা নওগাঁ রংপুর অঞ্চলে কিছু বছরে আমের চাষাবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৬১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪৪০০০ হাজার টন।
নওগাঁ জেলায় ১২৬৭১ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ বাদ হয়েছে। উৎপাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১৬২৪২ টন।
নাটোর জেলায় ৪৮২৩ হেক্টর জমিতে ৫৬০২১ টন আম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অপরদিকে সাতক্ষীরা রংপুর অঞ্চলে এই বছর আশানুরূপ ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিদেশে পাঠানোর জন্য ও রপ্তানি কারকদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে অর্থ বছরে আম রপ্তানির নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে আম রপ্তানি হয়েছে ৭৯০ টন এবং ২০২১-২০২২ আম রপ্তানি হয়েছে ১৭৫৭ টন। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০০০ টন আম রপ্তানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে এর মূল কারণ হলো সনাতন কৃষি ব্যবস্থা।
এসবদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি নিরাপদ ও বিষমুক্ত উৎপাদন সম্পর্কে প্রদান অত্যন্ত জরুরী বাঙালি সরকারের তত্ত্বাবধানে যারা পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে বাংলাদেশের গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (জি প পি) সার্টিফিকেট না থাকায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার সুপারমার্কেট মআম রপ্তানি করতে পারছে না।
যদি বাংলাদেশ (জি এস পি) সার্টিফিকেট পাওয়ার প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করতে পারে তাহলে রপ্তানি সম্ভাবনাময়ভাবে সম্প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ের প্রায় ১৫ লাখ টন আম উৎপাদন করে যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান।
এটাকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি উদ্যোগ এর পাশাপাশি প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা তবেই বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিতে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
পার্থ প্রতিম সরকার,
ইএমবিএ
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়।