সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন চায়; আর নির্বাচনের মাঠে যদি প্রতিপক্ষ থাকে তবেই নির্বাচনে ভারসাম্য থাকে।

রোববার সকালে জাতীয় পার্টির সাথে ইসির সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি। এসময় ভোটের পদ্ধতি বদলে নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমেই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশানার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি আরো বলেন, ভোট কারচুপি যাতে না হয়, সে জন্য একটা সিস্টেম চাচ্ছেন, যাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দলগুলোর সঙ্গে নিজেরা আলোচনা করেন। তাহলে সহমত সৃষ্টি হতে পারে। সিস্টেম নির্বাচনটা করে দেবে।

এর আগে, সংলাপে বসে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিনটা সিস্টেমের নির্বাচন হয়েছে, কোনোটাই বিতর্কের বাইরে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সিস্টেমটা চেঞ্জ করতে হবে। বর্তমান সিস্টেমে ফেরেশতা দিয়েও ফেয়ার নির্বাচন করতে পারবেন না বলে আমাদের অনুমান।

এসময় তিনি নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানোর পরামর্শ দেন। এছাড়া সংলাপ শেষে ২০২১ সালের আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় জাতীয় পার্টি।

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপ চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল এই সংলাপে অংশ নিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাথেও সংলাপে বসবে কমিশন। বিকাল ৩টায় ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল।

১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলমান সংলাপে ২৬টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তবে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করে। এছাড়া দুটি দল সময় পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে কমিশনের কাছে।