শতভাগ সুষ্ঠু ভোট’ ইস্যুতে হার্ডলাইনে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
বিশেষ করে আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটিসহ স্হানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে ব্যাপক তত্পরতা শুরু করেছেন ইসির সংশ্লিষ্টরা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন সুষ্ঠু করে রাজনৈতিক দলসহ ভোটারদের মধ্যে আস্হা ফেরাতে মরিয়া সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলছেন, ভোটের অনৈতিক প্রভাব বিস্তার রোধ এবং সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু ভোটের বিকল্প নেই। আসন্ন কুমিল্লা সিটিসহ অন্যান্য স্হানীয় সরকারের ভোট সুষ্ঠু করার জন্য সবধরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি ছয়টি পৌরসভা, একটি উপজেলা পরিষদ এবং ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। ঐ দিন তপশিল ঘোষণা শেষে ইসি মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন চায় একটি এক্সক্লুসিভ নির্বাচন করতে। এ কারণে এ সিটিতে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ইসির পরিচালক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীকে।

এক প্রশ্নের জবাবে কমিশন সচিব বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের উপস্হিতিতে ইভিএম কাস্টমাইজ করা হবে। সিটি নির্বাচনসহ সবগুলো নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কমিশন আন্তরিক। সব দলের অংশগ্রহণে ফ্রি-ফেয়ার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কমিশন এমনটাই প্রত্যাশা করে।’

ছালমা চা বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ সদস্যের কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এই কমিশনের অধীনে আগামী ১৫ জুন থেকে নির্বাচনি কর্মযজ্ঞ শুরু হচ্ছে। নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।

গত ১৬ মে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে সতর্ক করে দেয় কমিশন। একই সঙ্গে আচরণবিধিমালা অনুসরণ করার জন্য কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেওয়া ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্হগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন ব্যবস্হাপনা নিয়ে জনগণসহ বিভিন্ন অঙ্গনে যে অস্বস্তি রয়েছে—সেটি থেকে বের হতে চায় বর্তমান কমিশন। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্হা ফেরানোর জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তারা।

বিজ্ঞাপন