আগামীকালের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি ম্যাচটি বাতিল হওয়ার শঙ্কা জেগেছে। সেই সাতে স্টার স্পোর্টসের বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রাজকোটের দিকে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর, এতেই শঙ্কা।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অতিথি বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে। বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দলই পৌঁছেছে রাজকোটে। প্রথমদিন কোন অনুশীলন না করলেও টাইগাররা গতকাল মাঠে নামে। তাতে সবাই ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন আহত হয়েছেন। তবে
অল্পেই রক্ষা পান তিনি। সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামের বিশাল নেট। একের পর এক সাজানো। সেখানেই ব্যাট হাতে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে গিয়েই চোটে পড়েন মিথুন। নেটে স্কুপ করতে গিয়ে বল এসে লাগে তার থুতনিতে। শুরুতে যদিও মনে হচ্ছিল চোখে বল আঘাত হেনেছে। রক্ত ঝরা মুখ নিয়েই মাঠের পাশে রাখা এম্বুলেন্সে তোলা হয় মিথুনকে। তবে হাসপাতাল অব্দি যেতে হয়নি। সেখানকার ডাক্তাররাই চিকিৎসা করেন। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর মিলল বড় কোনো সমস্যা হয়নি। ফার্স্ট এইড চিকিৎসা শেষে একটি সেলাই নিয়েই এরপর নেটে নেমে পড়েন এই ব্যাটসম্যান। দিল্লির ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে একাদশে ছিলেন না মিথুন। রাজকোটেও যে একাদশে থাকবেন তেমন সম্ভাবনাও নেই। কারণ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। সূত্র জানিয়েছে অন্যরা সুস্থই আছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন কাল মাঠে নামার। তবে সার্বিক যে অবস্থা তাতে কাল ম্যাচটি না হওয়ার আশংকাই বেশি। সেক্ষেত্রে ১০ নভেম্বর নাগপুরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের জন্য ‘ফাইনাল’। অবশ্য কাল যদি ম্যাচ মাঠে গড়ায় এবং অতিথি বাংলাদেশ দল রাজকোটেও দিল্লির স্বাদ পায় তাহলে প্রথমবারের মত ভারতের বিরুদ্ধে কোন সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’ পশ্চিম দিকে থেকে দক্ষিণ পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা রয়েছে। তবে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলে আঘাত হানার সময়কালে কিছুটা দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মধ্যরাত থেকে কাল সকালের মধ্যে এই ঝড়ের আঘাত হানার শংকার কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ হবে কমপক্ষে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায়। সেই সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত এবং জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশংকাও রয়েছে। সুরাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রধান জয়দেব শাহ্ বলেছেন, ‘আমরা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসাবে মাঠ ঢেকে রেখেছি। যেন বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে ম্যাচ বাতিল না হতে পারে’। তবে ম্যাচ বাতিল প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।