দেশ জনতারবানী ডেস্কঃ

নগরের ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলি এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পলাতক আসামি দেলোয়ার রশিদকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেফতার দেলোয়ার রশিদ ডবলমুরিং থানাধীন মোগলটুলি ওসমান গণি কন্ট্রাক্টর বাড়ির মফিজুল হকের ছেলে। তিনি আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলার আসামি।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার রশিদ আজগর আলী বাবুল হত্যার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

১২ জানুয়ারি রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মো. আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান। নিহত বাবুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক।

১৩ জানুয়ারি ভোরে নিহত বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনকে এজাহারনামীয় ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর: ১০।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- মো. আবদুল কাদের (৫০), হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল (৪০), ওবাইদুল করিম মিন্টু (৪৫), আবদুল ওয়াদুদ রিপন (৪২), আবদুর রহিম রাজু (৪৫), আসাদ রায়হান (৩৫), আলাউদ্দিন আলো (৩৫), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ (৪৮), সালাউদ্দিন সরকার (৪৫), দেলোয়ার রশিদ (৪২), মো. আলমগীর (৪৫) ও আবদুন নবী (৪৭)।

ঘটনার পর আটক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরসহ ১১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তাদের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত সবার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।