শাহনেওয়াজ শাহীদ >>

চট্টগ্রামের বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও টিউশন ফির নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোটি টাকা। যেখানে ৮ম,৯ম ও ১০ম শ্রেনীর পুনরায় ও নতুন ভর্তি প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৯ হাজার ৮’শ ৯৫ টাকা থেকে শুরু করে ১১হাজার ৭’শ ৯৫ টাকা বা প্রায় ১২ হাজার টাকা করে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এমনকি ব্যবসা শিক্ষা শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেও রসায়ন, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি ল্যাব ফি নেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে জারি করা নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

গত ১৮ নভেম্বর মাউশি একটি বিজ্ঞপ্তি মতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে। কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি গ্রহণ করবে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে অথবা তা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।

২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফির নামে অর্থ নিতে পারবে না। এমন নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে এসবের কিছুই মানা হচ্ছে না।

যেখানে প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবস পালন সরকারি ভাবে বাধ্যতামূলক সেখানে জাতীয় দিবসের আলাদা ফি, নিরাপত্তাদানে আলাদা ফি এমনকি পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আলাদা ফি নেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগ মতে, বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সরকারের নির্ধারিত টিউশন ফি ছাড়া অতিরিক্ত সকল বিবিধ সেশন ফি বাবদ ৪০০০ টাকা, গ্রন্থাগার ফি বাবদ ২০ টাকা, ল্যাবরেটরি ফি বাবদ ১০০০ টাকা, ডায়েরি ফি বাবদ ২০০ টাকা, পাঠ্যক্রম ফি বাবদ ১০০ টাকা, অটোমেশন ফি বাবদ ৬০০ টাকা, যোগাযোগ বা এসএমএস ফি বাবদ ২৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি বাবদ ৭০০ টাকা, স্কাউট ফি বাবদ ৫০ টাকা, আইডি কার্ড বাবদ ৩০০ টাকা, ম্যাগাজিন ফি বাবদ ৩৫০ টাকা, নিরাপত্তা ফি বাবদ ৮০০ টাকা, টিউশন ফি বই বাবদ ২৫ টাকা, পানি, বিদ্যুৎ মেরামত ফি বাবদ ১৩০০ টাকা, জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৭০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম এ মোমেনের বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশের বাইরে কোন ফি আদায় করছি না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ফি পরিশোধের জন্য অভিভাবকদের বলা হয়েছে। কোন অভিভাবককে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না।’

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলেই তো স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশনা দেয়নি এবং সম্পূর্ন টাকা আদায় ছাড়া তো আপনারা ভর্তি করছেন না এরুপ প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

দেজবা/জিহ/শাশা