শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম কোতোয়ালী আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে দুই ব্যক্তিকে হোটেল গোল্ডেন ইন থেকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আটক প্রতারকদের একজন শিহাব উদ্দিন সিদ্দিকী ফটিকছড়ির রোসাংগিরি ইউনিয়নের তাহের উদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে। অপরজন মো. সোলায়মান কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃত মঈন উদ্দিন আহমেদের ছেলে। উল্লেখ্য সোলায়মান নগরীর হোটেল গোল্ডেন ইনের মার্কেটিং এন্ড সেলস ম্যানেজার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন দেশ জনতার বানীকে বলেন, আটক দুই প্রতারক মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা ইতোপূর্বে র্যাবের হাতে আটক হয়ে কারাগারে থাকা এক আসামিকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এই টাকা নিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আটক আসামিরা প্রতারণার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে স্বীকার করেছে। তাদেরকে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেলে এই চক্রে আর কে কে আছে জানা যাবে।
প্রতারণার শিকার নারী বলেন, আমার স্বামী ইফতিয়াজ সাঈদ সর্দার ১৭ নভেম্বর র্যাবের হাতে আটক হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি ১৮ নভেম্বর মুঠোফোনে আমাকে জানান রিহান শিহাবের কাছে তার এক লক্ষ টাকা পাওনা আছে। তার থেকে ওই টাকা নিয়ে উনি কারামুক্ত হওয়ার পর্যন্ত পরিবারের খবর বহন করতে বলেন। শিহাবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে টাকা দিবেন বলে জানান। পরের দিন তিনি বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রীর সাথে তার বিশেষ সখ্যতা আছে। মন্ত্রীর মাধ্যমে র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কন্ট্রাক্ট করে আমার স্বামীকে জামিনের ব্যবস্থা করে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, ওই এক লক্ষ টাকা তার কাছ থেকে না নিয়ে তাকে আরো দুই লক্ষ দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর তিনি আরো ছয়-সাত লক্ষ টাকা দাবী করেন এবং আমাকে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ভিডিও কলের স্ক্রীনশট দেখান, যা ছিল এডিট করা। শিহাব টাকা নিয়ে কাজ করতে না পারলে সোলায়মান সেই টাকার জিম্মাদার হয়েছিলেন। প্রতারণার বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ তাদের আটক করেন।
গ্রেফতার দু’জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি মহসীন।