ভালোবাসা মানে না কোন বাধা! করোনা মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশের জয়পুরহাটের মেয়ে মুরসালিন সাবরিনা ও তার প্রেমিক পাকিস্তানের ছেলে মুহাম্মদ উমের বিয়ে করেছেন। জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেনের বাড়িতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল ৫টায় জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার কণের বাড়িতে অনলাইনে বিয়ে পড়ানো হয়। অনলাইনে বিয়ে পড়ান মওলানা মোস্তাফিুজর রহমান। এই সময় অনলাইনে সাবরিনার কবুল পড়া শোনানো হয় বর উমের এবং তার বাবা বিলাল অহম্মেদকে। একইভাবে অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার উমের তার প্রেমিকা সাবরিনাকে স্ত্রী হিসেবে কবুল করেন।
কনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ে সাবরিনা ২০১৮ সাল থেকে আমেরিকান অনলাইন ইউনিভার্সিটি অব দ্য পিপলস-এ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন। একই ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ উমেরও পড়াশোনা করছেন।
ওই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘ইয়েমার’ এর মাধ্যমে দু’জনের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দু’জন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ সালে উভয়ের পরিবার কথাটি জানতে পারে। প্রথমে মুরসালিন সাবরিনার পরিবার সম্মতি দেয়নি। পরে ছেলের পারিবারিক অবস্থা খোঁজ খবর নিয়ে মোজাফফর হোসেন মেয়েকে মুহাম্মদ উমের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। মুহাম্মদ উমেরের পরিবারও তাতে রাজি হয়।
গত মার্চ মাসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। উমের ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে কনের বাড়িতে এসে বিয়ে পড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধে করোনাভাইরাস।
তবে করোনার এই দুর্যোগ মুহূর্তে পাকিস্তানি তরুণ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আসতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে অবশ্য আটকে থাকেনি। দুই পরিবারের সম্মতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রেমিকযুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বর মোহাম্মদ উমের বাবা বিল্লাল হোসেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি সবজি ও ফলমূল ব্যবসায়ী।
সাবরিনার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, পাকিস্তানি ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জামাই এসে মেয়ে নিয়ে যাবেন। আমি মেয়ে এবং জামাইয়ের জন্য সকলের দোয়া চাই।
আরো পড়ুন: বিনোদন