রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড, তিন শতাধিক ঘর ও দোকান পুড়ে ছাই

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : দেশ জনতার বাণী

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে রোহিঙ্গাদের তিনশতাধিক ঝুপড়ি ঘর ও দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৬ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ক্যাম্প ০১ ইস্ট এর ই এবং এফ ব্লকে এ আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়ীতে গ্যাসের সিল্ডিটার রয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গারা এর ব্যবহার বিধি জানে না। তাই প্রতিনিয়ত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীপন যাপন করছে। তারা আরো বলেন গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যান। পরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন।

এ ব্যাপারে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি ই ওয়ান ব্লকের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকান্ডের পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ৩ শতাধিক ঝুপটি ঘর ও দোকান। অসহায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও এনজিও সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার এমদাদুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উখিয়া ও কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি জানান, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং পরবর্তীতে কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড বড় আকার ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা আহত হয়েছে তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সকালে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে ছয় জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। আহতদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ইউএনও নিকারুজ্জামান।
আরো পড়ুন : কক্সবাজার সংবাদ