মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এসময় বাজারে মাছের চাহিদা মিটিয়ে ছিল হ্যাচারি, নদী ও কাপ্তাই হ্রদসহ বিভিন্ন হ্রদের মাছ। ভারত ও বার্মা থেকে আমদানিকৃত মাছও ছিল বাজারে। এ সময় মাছের দামও ছিল চড়া। তাই অনেকে মাছের পরিবর্তে মুরগি ও শীতকালিন সবজির প্রতি ঝুঁকেছিল।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সাগরে জেলেদের জালে আটকা পড়ছে বিপুল মাছ। ইলিশ থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছের জোগানও বেড়েছে বাজারে। প্রজনন মৌসুমে ডিম ওয়ালা মা মাছকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সরকারি আদেশে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল নদী ও সাগরে।
এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর মাছ শিকারে গিয়ে ফিশিং ট্রলারগুলো দুই দিনেই সাগর থেকে মাছবোঝাই হয়ে ফিরে আসছে। তাই আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় বাজারে দাম কিছুটা কমলেও জেলেদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। গভীর সাগরে ইলিশ ছাড়াও ধরা পড়ছে কোরাল, লইট্টা, রূপচাঁদা, পোপা, গলদা চিংড়িসহ নানান জাতের মাছ।
এদিকে, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষা নতুন ফিশারিঘাটের আড়ৎদার জেবল হোসেন বলেন, এখন প্রতিদিন শত শত নৌকা ও ট্রলার বিপুল মাছ নিয়ে ফিরছে। কাকডাকা ভোর হতেই এসব নৌকা ও ট্রলার থেকে নামানো হয় মাছ। এরপর এখান থেকে ট্রাকে করে এসব মাছ চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। উৎসব মুখর পরিবেশে নানা জাতের মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে প্রতিটি ভোরে। গত কয়েকদিন ধরে এখানে মাছ ক্রয়-বিক্রয়সহ নানান কাজে যারাই যুক্ত রয়েছেন সবাই এখন আনন্দে রয়েছে।
নগরীর ফিশারী ঘাটের জেলেরা জানান, গভীর সাগরে পূর্ণিমার তিথিতে ইলিশসহ বড় মাছ যেমন কোরাল, রূপচাঁদা, লাক্ষা, টুনা, স্যামন, ম্যাকরেল, সারডিন, স্কুইড, লবস্টার, রূপবানসহ নানান জাতের মাছ ধরা পড়ছে। তেমনি অমাবস্যার তিথিতে উপকূলীয় জেলেদের গাঁড়াজালে ধরা পড়ছে লইট্টা, ছোট ছুরি, ছোট জাতের চিংড়ি, পোপা, উলামাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ। সস্তায় বেশি মাছ কেনার আশায় অনেকে কর্ণফুলী ফিশারীঘাট ও কাট্টলীঘাটে সরাসরি চলে আসেন।