পুরুষের শুক্রাণুতেও করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তবে যৌন সম্পর্কে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হবে কি না সেটি নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার চীনের বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা জামা নেটওয়ার্কের মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। এ খবর দিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
ওই গবেষণায় চীনের শাংকিউ মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৩৮ পুরুষের মধ্যে ছয়জনের শুক্রাণুতে করোনার উপস্থিতি পেয়েছেন চিকিৎসকরা, যার হার ১৬ শতাংশ। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান আজ শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, যেহেতু স্বল্প পরিসরে এই গবেষণা চালানো হয়েছে, তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় কি না। এ জন্য আরো গবেষণার প্রয়োজন।
ওই গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি প্রমাণ হয় যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়, তাহলে এটি হবে এ মহামারির সবচেয়ে সংকটের বিষয়।
এদিকে অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ গবেষণা অনেক আশ্চর্যের বিষয়। কিন্তু বিষয়টি আরো সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত। এবং অন্য ছোট ছোট গবেষণাও পর্যবেক্ষণ করা উচিত, যেসব গবেষণায় শুক্রাণুতে করোনার উপস্থিতি মেলেনি।’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চীনে সামান্য পরিসরে করা গবেষণায় ১২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শুক্রাণুতে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাননি গবেষকরা।
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রোলজির অধ্যাপক অ্যালান প্যাসি বলেছেন, ‘ভাইরাসের উপস্থিতি জানতে শুক্রাণু পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকায় এ গবেষণাগুলো এখনই চূড়ান্ত হিসেবে দেখা উচিত নয়। এ ছাড়া শুক্রাণুতে করোনার উপস্থিতি থাকলেও এটি সক্রিয় কি না অথবা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে কি না, তা দেখা যায়নি।’
অ্যালান প্যাসি এও বলেন, ‘তবে ভাইরাসটি কিছু পুরুষের শুক্রাণুতে পাওয়া গেলে আমাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই, যেহেতু এটি ইবোলা ও জিকার মতো আরো অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে।’
আরো পড়ুন : আবিস্কার