করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এই করোনা মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৭ জনে।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত চার হাজার ১৮৬ জন।
তিনি বলেন, এ সময়ে আরোগ্য লাভ করেছেন ১৬ জন। আর সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।
জাহিদ মালেক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরেও অনেক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান অনেক ভালো বলেও জানালেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা তিন শতাধিক।
যারা ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন বা আগামীতে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে জানান তিনি।
ভিআইপিদের জন্য আলাদা কোনো হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসা স্বাভাবিক আছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর দেয় আইইডিসিআর। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।
১৮ মার্চ থেকে এক-দুই-তিন দিন পর পর মৃত্যুর খবর দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৩ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর দিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ১৭ এপ্রিল ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়। এটি ছিল একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু।
বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে তিন দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর হার। তবে কারও কারও ধারণা, এটি বাস্তব পরিস্থিতি নয়। আক্রান্তদের অনেকেই শনাক্ত হচ্ছেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বৈশ্বিকভাবে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। যাদের বয়স বেশি, যারা আগে থেকে অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি।
আরো পড়ুন : করোনাভাইরাস