করোনা রোধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং দাঁড়াবে বিএনপি ইনশাল্লাহ্: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনা রোধে দেশে চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সর্বশক্তি নিয়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি, জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো, ইনশাল্লাহ্। নিজেদের ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক ভুলগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার জন্য বিএনপির সমালোচনায় ব্যস্ত সরকার।
ইতোমধ্যে সারা দেশে কমপক্ষে ৫ লক্ষ পরিবারের কাছে বিএনপি দেয়া সাহায্য পৌঁছেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে এখন ভয়াবহ অদৃশ্য দানবের মতো গোটা পৃথিবীকে তছনছ করে দিয়েছে।’
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নানামুখি মূল্যায়ন ও করণীয় তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, তথ্যমন্ত্রী সাহেব কোনও তথ্য দিতে পারেন না। তিনি বারবার বলে যাচ্ছেন, এমনকি আওয়ামী লীগের লোকেরাও বলছেন যে, আমরা (বিএনপি) কিছু কাজ না করেই শুধু কথাই বলছি। এটা একেবারে সত্য নয়। আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের নিরাপদে রেখে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলায় আমাদের দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা তো একেবারে বিরোধী দল। আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন, উপজেলা থেকে শুরু করে একেবারে উপরে পর্যন্ত, তাদের সকলের ব্যবসা-বাণিজ্য কিন্তু নেই বললেই চলে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করা হয়। যারা দোকান করেন তাদের দোকান নিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যেও আমরা দুঃস্থ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
ফখরুল আরো বলেন, ‘তারা (সরকার) এই কথাগুলো (বিএনপির প্রতি অভিযোগ) বলে শুধুমাত্র তাদের যে ভয়ঙ্কর ভুলগুলো হচ্ছে, মারাত্মক ভুলগুলো হচ্ছে সেগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ৪ এপ্রিল বিএনপির পক্ষে করোনাজনিত প্রভাব মোকাবিলায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্যাকেজ জিডিপির ৩ শতাংশ ঘোষণা করার অনুরোধ করেন। তার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) প্রস্তাবিত প্যাকেজের ভেতরে না গিয়েই কটু ভাষায় আমাকে বিশেষ করে বিএনপিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এবং প্যাকেজটিকে ‘কল্পনাবিলাস’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ও সর্বমোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তাতে প্রমাণ করে বিএনপি ঘোষিত প্যাকেজই ছিল ‘বাস্তবভিত্তিক’, একটি সুচিন্তিত ও সময় উপযোগী প্রস্তাবনা।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, বিরোধী দলের কাছ থেকে একটা প্রস্তাব আসছে সেটার উপর ভিত্তি করে ডিবেট হতে পারতো, আলোচনা হতে পারতো। আমরা বলি না যে আমাদেরটাই চূড়ান্ত করতে হবে। কিন্তু একটা সুপ্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে পারতেন তারা। তারা সেটা করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজকে ‘শুভঙ্করের প্যাকেজ’ বলেও এসময় মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
করোনার আরো জানতে: করোনা নিউজ