বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনী জজকোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও রায়ে প্রত্যেক আসামীকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টা ২১ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মানুষের সামনে আনার জন্য সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ। ১৭২ পৃষ্টার রায়ের চুম্বক অংশ পাঠ করেন তিনি।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বিচারক রায় ঘোষণা করেন। এই রায় ঘোষণার মাধ্যমে হলে অল্প সময়ে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসার সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।