অনলাইন সংস্করণ.
তল্লাশির নামে কিশোরীকে অপহরণের পর গণধর্ষণ
জামালপুরের সদর উপজেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে।
শনিবার রাত ৩টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজা-খুঁজির পর পরদিন রোববার সকালে ঝিনাই নদীর ওপারে জঙ্গলে আহতাবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। দুপুরে শিশুটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
ধর্ষণের অভিযোগে মিজান (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে রাশেদুল ইসলাম পুষণ ও মিজানসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির দিনমজুর বাবা জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে করোনাভাইরাসের জন্য পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি করতে দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে দেখি ৫-৬ জনের দল। প্রথমে তারা পানি খেতে চায়। পানি এনে দিলে শিশুটির হাত ধরে জোর জবরদস্তি শুরু করে।
এতে বাধা দিলে বাবার গলায় ধারালো ছুরি ধরে মাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় ঝিনাই নদীর ওপারে। সেখানে কিশোরীকে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ৫ জনের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পুষণ ও ওর বন্ধু টগর চরের মিজানকে চিনতে পারি। খোঁজা-খুঁজির পর পরদিন রোববার সকালে ঝিনাই নদীর ওপাড়ে জঙ্গল থেকে আহতাবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি সালেমুজ্জামান জানান, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মিজান নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সোমবার ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক। দেশের এই দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা তল্লাশির নামে যারা অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।