অনেক সময় পায়ের বা আঙুলের নখ ত্বকের ভেতর দিকে দেবে যায় বা নখের নিচের মাংসে ঢুকে যায়। একে ইনগ্রোয়িং অব নেইল বলা হয়। এই সমস্যায় ব্যথা তো হয়ই, কখনো সংক্রমণ হয় এবং পুঁজ বের হতে থাকে।

কেন হয় ইনগ্রোয়িং
নখ ও এর নিচের ত্বক কেরাটিন নামের প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রতিনিয়ত কেরাটিনের ঘন স্তর তৈরি হতে থাকে এবং নতুন নখের কলা তৈরি হয়। নিচের কেরাটিন স্তরের সঙ্গে এই নতুন নখের অসামঞ্জস্য দেখা দিলে নখ দেবে যেতে পারে। সাধারণত কোনো কারণে আঘাত (যেমন জুতার ঘর্ষণ), ছত্রাক সংক্রমণ, নেইল বাইটিং বা নখ কামড়ানোর অভ্যাস, ভুল পদ্ধতিতে নখ কাটা (নখের কোনা বড় করে রাখা) ইত্যাদি কারণে এই অসামঞ্জস্য দেখা দেয়।

সংক্রমণ হতে পারে
ইনগ্রোয়িংয়ের সমস্যা হলে এতে নিচের মাংস বা ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমণ হলে তা থেকে পুঁজ বের হতে পারে, এমনকি চিকিৎসা না করালে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে আশপাশে ও নিচের হাড়ে। নখটির স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

কী করবেন
ইনগ্রোয়িং হলেই যে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তা নয়। প্রথমে বাড়িতে এর যত্ন নিতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে গরম সেঁক দিন বা হালকা কুসুম গরম পানিতে আঙুল ডুবিয়ে রাখুন দিনে দুবার করে, ২০ মিনিট। পরে শুকিয়ে অ্যান্টি–ফাঙাল বা অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে দিন। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন। তবে যদি সংক্রমণ দেখা দেয়, ফোড়ার মতো হয়ে যায়, লাল হয়ে ফুলে পুঁজ বেরোতে থাকে কিংবা আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন, তবে অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কখনো অ্যাবসেস বা ফোড়া কেটে পুঁজ বের করে দিতে হয়। কখনো চিকিৎসক হয়তো নখের নিচে একটা মেডিকেটেড ব্যান্ডেজ প্রবেশ করিয়ে দেবেন। আবার অবস্থা বেগতিক হলে পুরো নখটাই উঠিয়ে ফেলতে হতে পারে।

সতর্ক থাকুন
ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ের যেকোনো সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকে। তাই রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন, বেশি থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
নিজে নিজে পুঁজ বের করা কিংবা ফোড়া গালানোর মতো ছোট সার্জারি করে ফেলবেন না। কারণ, জীবাণুমুক্ত উপায়ে না করা হলে সংক্রমণ আরও বাড়বে।
বারবার ইনগ্রোয়িং হলে কারণটা কী, তা খুঁজে বের করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here