জনতার বাণী অনলাইন ডেস্ক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন.
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় করোনা সতর্কতা তোয়াক্কা করছেন না সাধারণ জনসাধারণ
যতক্ষণ উপর মহল থাকে ততক্ষণ থাকে নিরাপত্তা উপর মহল চলে গেলেই নিমিষেই শেষ নিরাপত্তা।
চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেডে উপর মহলের কেউ গেলে তখন দু চার মিনিটের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্তা করা হলেও উপর মহলরা চলে গেলে শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা আর কারোও মনেও থাকে না।এমননি এক অভিযোগ পাওয়া গেছে আনোয়ারা সু-ফ্যাক্টরীতে।
সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক। এই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন মহল রাজনৈতিক সামাজিক মানবিক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে প্রতি নিয়তে তাছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বন্ধ ঘোষণা করেছে সারাদেশে পর্যটক কেন্দ্র গুলো সহ বিভিন্ন সভা,বিয়ের আয়োজন এমন কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও।
কিন্তু একটু ঘুরলেই দেখা যাবে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেডে প্রায় ত্রিশ হাজার শ্রমিক কাজ করে তাছাড়াও ওখানে রয়েছে বিদেশি শ্রমিকরা।
কথা হচ্ছে এই শ্রমিক গুলোর মাঝে কি করোনা ভাইরাস হবে না? যারা একসাথে সকালে ফ্যাক্টরিতে ডুকলে বের হয় সন্ধায় কাজ করে একশো দুইশো জন শ্রমিক একসাথে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে একজন শ্রমিক বলেন আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা মুখের জন্য একটা মাক্স দিলেও আর কোনো নিরাপত্তা নেই।সেই মাক্সটা আবার দু চারদিন পরেও চেন্জ করার কোনো পরিকল্পনা থাকে না।শ্রমিকরা এই ময়লা মাক্স বদলাতে চাইলেও তারা বদলিয়ে দে না। তারা আরও বলে ওইটা ধুয়ে আবার পড়তে যদি শ্রমিকরা সেটার প্রতিবাদ করতে যায় তাদের বলে পানিশমেট দেওয়া হবে।
অন্য আরেকজন শ্রমিক বলেন যেখানে করোনা ভাইরাসের জন্য জন্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোক জমায়েত হবে বিধায় ভয়ংকর করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে বিধায় সেখানে আমরা খাবার খাই দু চার পাঁচশো এক হাজার জন শ্রমিক একসাথে বসে।তাহলে করোনা নিরাপত্তা কোথায় আমাদের।
আরেক জন শ্রমিক বলেন পেটের দায়ে আমাদের কাজে আসতে হচ্ছে কিনতু এখানে কোনো তেমন নিরাপত্তা নেই তবে উপর মহলের যদি কেউ আসে তাহলে কিছুক্ষণের জন্য নিরাপত্তা দেওয়া হয় ওনারা চলে গেলে আবারও সেই একি অবস্থা।
অন্য আরেকজন শ্রমিক থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা শ্রমিক পরিবার কে চালানোর জন্য পেটের ক্ষুধায় ফেক্টরিতে চলে আসি কিনতু এইখানে নেই কোনো নিরাপত্তা নিরাপত্তার কথা বললে আমাদের বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয় বলে কাজ করলে কর না করলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যাও অনেকজন লাইন দরে দাঁড়িয়ে আছে চাকরি করার জন্য। তিনি আরও বলেন এখানে গালিগালির কোনো নিয়মনীতি না থাকলেও আমাদের অসাধু ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয় কেমিক্যাল মিশ্রিত কাজ করতে বাধ্য করা হয়।